প্রকাশিত হয়েছে Sep 6, 2024
Author
Rubel

ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মিশেল বার্নিয়ের নাম ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ। ফ্রান্সে আগাম জাতীয় নির্বাচনের ফলাফলের কারণে যে রাজনৈতিক অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে, তার মধ্যে নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হলো। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে এখন বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে বার্নিয়েকে।
মিশেল বার্নিয়ে প্রবীণ রাজনীতিক। তাঁর বয়সও কম নয়—৭৩ বছর। ব্রেক্সিট বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রধান মধ্যস্থতাকারী ছিলেন। ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের সঙ্গে একাধিক আলোচনার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। ফ্রান্সের রিপাবলিকান পার্টির (এলআর) হয়ে দীর্ঘদিন রাজনীতি করেছেন বার্নিয়ে। ছিলেন ফ্রান্স ও ইইউর একাধিক জ্যেষ্ঠ পদেও।
মাস দুয়েক আগে ফ্রান্সে আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে সরকার গঠনের জন্য কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ফলে রাজনৈতিকভাবে বড় তিনটি ভাগে ভাগ হয়ে পড়েছে দেশটির পার্লামেন্টের জাতীয় পরিষদ। এখন এই বিভক্তি এড়িয়ে টেকসই একটি সরকার গঠনের চ্যালেঞ্জ হাতে নিতে হবে মিশেল বার্নিয়েকে।
১৯৫৮ সালে ফ্রান্সের নতুন প্রজাতন্ত্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পর থেকে সবচেয়ে প্রবীণ প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন বার্নিয়ে। তিন বছর আগে তিনি মাখোঁকে সরিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট পদে বসতে চেয়েছিলেন। দেশটিতে অভিবাসন সীমিত করা এবং নিয়ন্ত্রণে আনার কথা তুলেছিলেন তিনি। তবে সেবার নিজ দল থেকেই প্রেসিডন্ট প্রার্থী মনোনীত হননি।
ফ্রান্সের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়াল আতালের জায়গায় বসবেন মিশেল বার্নিয়ে। ২০২৪ সালের শুরুর দিকে আতালকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ দিয়েছিলেন মাখোঁ। গত জুলাই থেকে ফ্রান্সের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট মাখোঁর পছন্দ ঘিরে এরই মধ্যে অসন্তোষ দেখিয়েছে বামপন্থী রাজনৈতিক জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট (এনএফপি)। জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত আগাম নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে তারা। তাদের অভিযোগ, নির্বাচনে এনএফপি সবচেয়ে ভালো করলেও ডানপন্থী একজনকে প্রধানমন্ত্রী করা হচ্ছে। এতে একটি ডানপন্থী সরকার গঠিত হতে চলেছে।